মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের রুই ফলোশিয়া গ্রামের তরুন উদ্যোগতা তন্ময় কুুমার বিভিন্ন জাতের ফলবাগান করে সফলতা অর্জন করেছে।তরুন এই অনার্স পড়ুয়া ছাত্র প্রায় ১০ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছে মিশ্র ফল বাগান। তন্ময় কুমার ঐ গ্রামের লক্ষণ কুমারের ছেলে।

বাগান করার বিষয়ে সে জানায়, আমি কৃষক পরিবারের সন্তান। ছোটবেলা থেকেয়ই কৃষি কাজ দেখে দেখে বড় হয়েছি। আমার অনেক ভাল লাগে তাই ২০১৯ সালে মাগুরা জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ট্রেনিং করি। করোনায় পুরো দেশ যখন লকডাউনে তখন বসে না থেকে বাগান করার পরিকল্পনা অনুযায়ী গাছের চারা সংগ্রহ করে তা রোপন শুরু করি ।

 

বাগানে তিন প্রজাতির পেয়ারা রয়েছে যেমন বারোমাসি থাই, ফাইভ সেভেন ,ও গোল্ডেন এইট।আরও বলসুন্দরী কুলের চারা এবং সিডলেস লেবুর চারা বিভিন্ন যায়গা থেকে সংগ্রহ করে তা রোপন করেন। তার পাশা পাশি গড়ে তুলেছে পঞ্চাশ শতাংশের একটি পানের বরজ ও ছাগলের খামার। বাগানে ইতিমধ্যে এই বছরে ফল আসতে শুরু করেছে।অাবহওয়া অনুকুলে থাকলে এই বছরে চার লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার পেয়ারা বিক্রয় করতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তন্ময় কুমার জানান, সরকারি সহায়তা পেলে আমি আগামীতে আরো বড় বাগান করতে পারবো এবং অনেক বেকারের কর্মস্থান তৈরি হবে।আমি চাই এলাকার সকল বেকার স্বাবলম্বী হতে আমার মত উদ্যোগী হোক।প্রত্যেকে নিজের পায়ে দাড়াতে শিখুক।

 

এই বিষয়ে বাবুখালী ইউনিয়নের উপ কৃষি কর্মকর্তা প্রনব কুমার জানান, আমি সার্বক্ষনিক তন্ময় কুমারের ফলবাগান দেখভাল করি এবং প্রয়োজনীয় পরার্মশ দিয়ে থাকি।কৃষি সম্পর্কিত যেকোন ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হলে তাকে দেওয়া হবে।তাছাড়া তার বাগানে এলাকায় মডেল হিসেবে গন্য হবে বলে আশা রাখি।